আমরা প্রায়ই ভাবি, “যদি কোনো নিয়ম বা সীমাবদ্ধতা না থাকত, তাহলে জীবনটা কতই না সুন্দর হতো!”
কিন্তু সত্যিটা হলো, অসীম স্বাধীনতা বা ‘Absolute Freedom’ আমাদের প্রায়ই আরও বেশি বিরক্ত, একঘেয়ে এবং উদ্দেশ্যহীন করে তোলে। মানুষ হিসেবে আমাদের ব্রেইন ডিজাইন করা হয়েছে কোনো সমস্যা সমাধান বা প্যাটার্ন তৈরির জন্য, অসীম পছন্দের মধ্যে হারিয়ে যাওয়ার জন্য নয়।
তাহলে সমাধান কী?
Dan Koe এর মতে – এর সমাধান হলো, সব নিয়মকানুন ফেলে দেওয়া নয়, বরং নিজের জন্য এমন কিছু নিয়ম, স্ট্যান্ডার্ড এবং প্রজেক্ট ডিজাইন করা যা আপনার জীবনকে একটি অর্থপূর্ণ খেলার মতো করে তুলবে।
এখানে সেই ১২টি নিয়ম দেওয়া হলো, যা দিয়ে আপনি একটি গতানুগতিক জীবন থেকে বেরিয়ে এসে নিজের জন্য একটি পারফেক্ট জীবন গড়তে পারবেন।
১. Anti-Vision স্ট্রাটেজিটা দিয়েই প্রথম ধাপ শুরু করুন!
আপনি জীবনে কী চান, তা ভাবার আগে ঠিক করুন আপনি জীবনে কী চান না। একটি কাগজে বা নোটে লিখুন আপনি কোন জিনিসগুলো কোনোভাবেই মেনে নেবেন না।
উদাহরণ:
– “আমি এমন কোনো চাকরি করবো না যেখানে আমার শেখার কোনো সুযোগ নেই,”
– “আমি ৩০ বছর বয়সে গিয়ে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে চাই না,”
– “আমি এমন কোনো সম্পর্কে থাকবো না যেখানে কোনো সম্মান নেই।”
এই নেগেটিভ এনার্জিটাই হবে আপনার পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় চালিকাশক্তি।
২. Excellence-এর জন্য Determined থাকুন সবসময়!
আপনার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে (যেমন: স্বাস্থ্য, কাজ, জ্ঞান) কিছু নন-নেগোশিয়েবল স্ট্যান্ডার্ড বা মানদণ্ড ঠিক করুন।
উদাহরণ: আপনার স্ট্যান্ডার্ড হতে পারে,
– “আমি ক্লায়েন্টকে দেওয়া ডেডলাইনের আগে কাজ জমা দেব, যাই হোক না কেন,”
– অথবা “আমি প্রতিদিন অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুমাবো।”
এই নিয়মগুলো যখন আপনার জীবনের অংশ হয়ে যাবে, তখন ছোটখাটো সিদ্ধান্ত নেওয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে।
AIinBangla তে এই প্রত্যেকটা জনপ্রিয় এবং প্রুভেন মানি মেকিং মেথড ডিটেইল কভার করছি একটা একটা করে (things I have personally tested)!
আজ থেকে September Special Week চলছে। ৭০০০ টাকার কোর্সে ছাড় পাবেন বিশাল – 40% Discount এ মাত্র ৪২০০ টাকায় ভর্তি হতে পারবেন এই স্পেশাল সপ্তাহ ছাড়ে!
https://aiinbangla.com/courses/ai-champions/ এই লিঙ্কে গিয়ে Add To Cart করবেন, তারপর View Cart করে সব ডিটেইলস দিয়ে কুপন বক্সে এই কুপন কোডটা ইউজ করুনঃ OctoberSpecial
ক্যান এই কোর্সটা আপনি যেটা চাচ্ছেন সেটাই একদম?
এই কোর্সটা করলে আপনি একজন Full-fledged এআই এক্সপার্ট হতে পারবেন। একদম বিগিনার ফেইজ থেকে শুরু করে Advanced লেভেল পর্যন্ত!
– আপনি AI কন্টেন্ট ক্রিয়েশন নিয়ে ফুল একটা আইডিয়া পাবেন। ভিডিও কন্টেন্ট (Funny, Informational, Vlogging, Product Ads, Documentary), টেক্সট বেইজড কন্টেন্ট, ইমেজ কন্টেন্ট + ব্লগ/এফিলিয়েট/বিজনেস কন্টেন্ট – সব।
– পাশাপাশি, Prompt Engineering এর একদম A টু Z শিখতে পারবেন।
– এআই দিয়ে Digital Product বানানোর ডিটেইলস শিখবেন (এই পার্টটা আরও অনেক নতুন নতুন ভিডিও দিয়ে আপগ্রেড করা হবে, যেমন একটা প্রডাক্ট বানানোর পর সেটা কিভাবে লাইভ করতে হয়, এইসব)।
– AI অটোমেশন এবং ফ্রিতে Chatbot বানানো শিখবেন।- আমি শিগগির প্রত্যেকটা সেকশনের জন্যে মানিটাইজেশন স্ট্রাটেজি নিয়ে ভিডিও বানাচ্ছি, আপলোড হবে শিগগির! যেমন শর্টস চ্যানেল ক্রিয়েশন, ডিজিটাল প্রোডাক্ট ক্রিয়েশন, নিউজলেটার অটোমেশন, ভাইভ কোডিং প্রজেক্ট সহ অনেক অনেক কিছু!
FAQs Answered:- রেকর্ডেড with Lifetime Support, Access, Certificates and Bonuses) দেখতে পারেন।এই লিঙ্ক থেকে কোর্স আউটলাইনটা দেখে নিন – Google Doc Link to AI Champion Course Module
Admission নেয়ার লিঙ্কঃ aiinbangla.com/courses/ai-champions/
Coupon Code: OctoberSpecial
অফারটা থাকবে জাস্ট এই সপ্তাহটা! তারপর কোর্সের অরিজিনাল দামটা তো বাড়বেই (যেহেতু ব্রেথটেকিং সব নতুন নতুন মডিউল আসতেসে এক এক করে), ডিস্কাউন্ট অফারটাও এই মাসে আর আসবে না!ইনবক্স করতে পারেন যদি কোন প্রশ্ন থাকে!
৪. প্রজেক্টের মাধ্যমে শেখার চেষ্টা করুন!
ঘণ্টার পর ঘণ্টা টিউটোরিয়াল দেখা বন্ধ করুন। আসল শেখাটা হয় কোনো বাস্তব প্রজেক্ট তৈরির মাধ্যমে।
উদাহরণ:
আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান, তাহলে শুধু কোর্স না করে, নিজের একটি ছোট ফেসবুক পেজ খুলে সেটিতে মার্কেটিংয়ের বিভিন্ন কৌশল পরীক্ষা করুন।
এই প্রজেক্ট আপনাকে ডেডলাইন, ফিডব্যাক এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা দেবে যা কোনো ভিডিও টিউটোরিয়াল দিতে পারবে না।
যদি এআই শিখতে চান, তাহলে একই রোডম্যাপ ফলো করুন!
৫. প্রতিদিন ছোট ছোট পদক্ষেপ নিন (Daily Levers):
প্রতিদিন মাত্র ১-৩টি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করুন যা আপনার প্রজেক্টকে বা লক্ষ্যকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
উদাহরণ:
আপনার লক্ষ্য যদি হয় একটি বই লেখা, তাহলে আপনার Daily Lever “বই লেখা” নয়। আপনার Daily Lever হলো “আজ ৫০০ শব্দ লেখা” বা “চ্যাপ্টার ২-এর জন্য রিসার্চ করা।”
যদি দুই সপ্তাহ পরেও আপনার প্রজেক্টে কোনো অগ্রগতি না দেখেন, তার মানে আপনি অপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যস্ত।
৬. একজন Deep Generalist হোন!
শুধু একটি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ না হয়ে, বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করুন।
উদাহরণ: একজন গ্রাফিক ডিজাইনার যে শুধু ডিজাইন পারে তার চেয়ে, যে ডিজাইন করার পাশাপাশি মার্কেটিং সাইকোলজি এবং কপিরাইটিং-এর বেসিক বোঝে, তার ডিমান্ড এবং ভ্যালু অনেক বেশি।
তবে যেটা শিখবেন সেটা বেশ ভালোভাবে শিখতে হবে।
যেমন আমি মার্কেটিং নিয়ে কাজ করি। তবে এআই এর জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা নিঃসন্দেহে আমাকে এগিয়ে রাখবে অনেক দিক থেকেই!
৭. একজন উদ্যোক্তার মতো চিন্তা করুন (High Agency)!
উদ্যোক্তা হওয়া মানে শুধু বিজনেস করা নয়, এটি একটি মানসিকতা। এটি হলো যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজের দায়িত্ব নিজে নেওয়ার এবং সমস্যা সমাধান করার মানসিকতা।
উদাহরণ:
ধরুন, আপনার এলাকায় কারেন্ট চলে গেছে। কমপ্লেইন করাটা হলো “Low Agency”।
আর “High Agency” মানসিকতার মানুষ ভাববে, “আচ্ছা, এখন আমি কী করতে পারি? ফোনের চার্জ দিয়ে কাজটা সেরে ফেলা যায়? নাকি কাছাকাছি কোনো ক্যাফেতে চলে যাবো?”
৮. একজন Creator হওয়ার চেষ্টা করুন, all the time!
শুধু একজন কনজিউমার বা ভোক্তা না হয়ে, একজন ক্রিয়েটর বা নির্মাতা হোন।
উদাহরণ:
আপনি পার্সোনাল ফাইন্যান্স নিয়ে ১০টি বই পড়েছেন, এটা হলো কনজিউমার হওয়া।
আর ওই ১০টি বইয়ের জ্ঞান ব্যবহার করে আপনি যখন একটি ব্লগ পোস্ট লিখেন বা বন্ধুদের জন্য একটি সহজ বাজেট টেমপ্লেট তৈরি করেন, তখন আপনি একজন ক্রিয়েটর।
এই ক্রিয়েটরস জার্নিটা আপনাকে যেমন আপনার Professional লাইফে হেল্প করবে, তেমনি লাইফের নতুন নতুন মোড় বা টুইস্ট উপহার দিবে আপনাকে! ট্রাস্ট মি…ইট জাস্ট হ্যাপেন্স!
৯. অনিশ্চয়তাকে সিগন্যাল হিসেবে দেখুন!
যখনই আপনি আপনার জীবন পরিবর্তন করার চেষ্টা করবেন, তখনই আপনি নিজেকে হারানো বা অনিশ্চিত মনে করবেন।
এটা স্বাভাবিক।
এটাকে ভয় না পেয়ে, কাছে টেনে নিন সমস্যাটাকে এবং বার বার পর্যালোচনা করুন যে কোথায় ভুল হচ্ছে বা কি কি ইম্প্রুভ করা যায়!
উদাহরণ:
একটি নিরাপদ চাকরি ছেড়ে নিজের ব্যবসা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুবই অনিশ্চিত এবং ভয়ের।
কিন্তু এই অনুভূতিটা প্রমাণ করে যে আপনি আপনার কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে এসেছেন এবং একটি বড় সাফল্যের দিকে পা বাড়িয়েছেন।
মনে রাখবেন, বড় সাফল্য প্রায়ই অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়েই আসে। ধীরে ধীরে নিজের ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা বাড়ান।
ধাপ ১০: নিজের উৎসাহকে ইঞ্জিনিয়ার করুন (Engineer Enthusiasm)!
আপনার জীবনকে এমনভাবে ডিজাইন করুন যাতে আপনি যা করছেন, তা নিয়ে genuinely উৎসাহিত থাকেন।
কীভাবে করবেন?
কোন কাজটি করলে আপনার সময় কীভাবে চলে যায় তা টের পান না? সেই কাজের জন্য প্রতিদিন সময় বরাদ্দ করুন। আর যে কাজগুলো আপনার শক্তি নষ্ট করে, সেগুলো বাদ দিন বা আউটসোর্স করুন।
উদাহরণ:
ধরুন, আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার এবং আপনি ক্লায়েন্ট মিটিং করতে ভালোবাসেন কিন্তু রিপোর্ট তৈরি করতে ভালো লাগে না আপনার।
তাহলে আপনার দিনের সেরা সময়টা ক্লায়েন্ট মিটিং-এর জন্য রাখুন এবং রিপোর্ট তৈরির কাজটি দিনের শেষে করুন বা সম্ভব হলে আউটসোর্স করুন।
১১. নিয়মিত Self-Experiment করুন!
অন্যের ফর্মুলা অন্ধভাবে অনুসরণ না করে, নিজের উপর ছোট ছোট পরীক্ষা চালান।
উদাহরণ: আপনার বন্ধু হয়তো ভোর ৫টায় উঠে সবচেয়ে বেশি প্রোডাক্টিভ থাকে। কিন্তু আপনি একজন “Night Owl”।
অন্যের দেখাদেখি ভোর ৫টায় না উঠে, আপনি রাত ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত কাজ করে পরীক্ষা করুন।
দেখুন কোন রুটিনটা আপনার জন্য সেরা ফলাফল এনে দেয়।
বিভিন্ন ডায়েট, প্রোডাক্টিভিটি রুটিন বা শেখার কৌশল নিজের উপর পরীক্ষা করে দেখুন কোনটি আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো কাজ করে।
১২. একটি ইউনিক Lifestyle লিড করুন এবং সবসময় নিজের করা যে কোন ধরনের ভুলকে Accept করুন ইজিলি!
জীবনে চলার কোনো একটি “সঠিক পথ” নেই। ভুল করাটাই শেখার এবং নিজের জন্য সঠিক পথ খুঁজে বের করার একমাত্র উপায়।
উদাহরণ:
আপনি হয়তো ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছেন কিন্তু এখন আপনার মনে হচ্ছে আপনি লেখালেখি করতে বেশি ভালোবাসেন।
এটা কোনো ভুল সিদ্ধান্ত ছিল না, এটা ছিল একটা অভিজ্ঞতা যা আপনাকে শিখিয়েছে আপনি আসলে কী চান।
অন্যের অনুমতির জন্য অপেক্ষা না করে নতুন কিছু চেষ্টা করার সাহস রাখুন।



