ডঃ লিপটনের মতে, সাবকনশাস মাইন্ড নতুন কিছু শেখে মূলত দুটি উপায়ে—পুনরাবৃত্তি (Repetition) এবং “Super Learning” বা সম্মোহনী অবস্থায় (Hypnotic State)।
উপায় ০১: পুনরাবৃত্তি (Repetition through Affirmations):
আপনার তৈরি করা নতুন বিশ্বাসটি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অন্তত ১০-১৫ বার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলুন বা একটি ডায়েরিতে লিখুন।
এটি অনেকটা একটি নতুন গান বারবার শোনার মতো, যা একসময় আপনার মাথায় গেঁথে যাবে অটোম্যাটিক্যালি!
কৌশল ২: “Super Learning” স্টেট ইউজ করুন!
আমাদের ব্রেইন ঘুমানোর ঠিক আগের মুহূর্তে এবং ঘুম থেকে ওঠার ঠিক পরের মুহূর্তে একটি Theta ব্রেইনওয়েভ স্টেটে থাকে। এবং এটিই আসলে সেই “Hypnotic State” যা ৭ বছর বয়সের শিশুদের মধ্যে থাকে।
এই সময়ে, চোখ বন্ধ করে আপনার নতুন বিশ্বাসটি মনে মনে বলুন এবং অনুভব করার চেষ্টা করুন যেন এটি ইতোমধ্যেই সত্যি হয়ে গেছে।
এই সময়ে আপনার সাবকনশাস মাইন্ড সবচেয়ে বেশি acceptance অবস্থায় থাকে।
কৌশল ৩: ভিজ্যুয়ালাইজেশন (Visualization) করুন!
আপনার নতুন একটা বিশ্বাস সত্যি হয়ে গেলে আপনার জীবনটা কেমন হবে, তা বিস্তারিতভাবে কল্পনা করুন। একদম Detailed! আপনি কী দেখছেন, কী শুনছেন, এবং কেমন অনুভব করছেন—সবকিছু কল্পনা করুন।
আপনার ব্রেইন বাস্তব এবং শক্তিশালী কল্পনার মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না।
মানে আপনার অবচেতন মন বাস্তবতা এবং ইমাজিনারি কল্পনার পার্থক্য করতে পারে না – সুতরাং আপনি যা হতে চান বা যা চান – সেটা কন্সট্যান্টলি ভিজুয়ালাইজ করতে পারলে সেটা আপনার Subconscious মাইন্ড এ ইন্টিগ্রেইট হয়ে যাবে অটোম্যাটিক্যালি!
Bonus উপায়ঃ একটি নতুন, শক্তিশালী বিশ্বাস (Belief) তৈরি করুন (Create the New Program)!
আপনার Brain এর পুরনো, অকেজো সফটওয়্যারটিকে (অবচেতন এবং সচেতন মন) একটি নতুন, আপগ্রেডেড সফটওয়্যার দিয়ে Replace করুন।
কীভাবে করবেন?
আপনার লিমিটিং বিলিফের ঠিক বিপরীত একটি পজিটিভ এবং শক্তিশালী বাক্য তৈরি করুন। বাক্যটি অবশ্যই বর্তমান কালে (Present Tense) হতে হবে, যেন আপনার ব্রেইন বিশ্বাস করে যে এটি ইতোমধ্যেই সত্যি।
কিছু রিয়েল লাইফ এক্সাম্পলঃ
পুরনো বিশ্বাস: “টাকা আয় করা অনেক কঠিন।”
নতুন বিশ্বাস: “টাকা আমার কাছে সহজেই এবং আনন্দের সাথে আসবে।”
পুরনো বিশ্বাস: “আমি মানুষের সামনে কথা বলতে ভয় পাই।”
নতুন বিশ্বাস: “আমি একজন আত্মবিশ্বাসী এবং এক্সসাইটিং একজন Speaker!”



