আপনি প্রতিদিন কষ্ট করে কনটেন্ট বানাচ্ছেন, কিন্তু লাইক, কমেন্ট, ফলোয়ার—কিছুই বাড়ছে না? ভাবছেন অ্যালগরিদম আপনার শত্রু?
ভুল। সমস্যাটা আপনার কনটেন্টে নয়, সমস্যাটা আপনার Direction বা কৌশলের অভাবে।
ধাপ ১: আপনার লক্ষ্য ঠিক করুন (Define Your Goal)!
আপনি কেন পোস্ট করছেন?
আপনার শেষ গন্তব্যটা কী?
আপনি যদি না জানেন আপনি কোথায় যেতে চান, আপনার কনটেন্ট আপনাকে সেখানে নিয়ে যেতে পারবে না।
আপনার লক্ষ্য কি শুধু ফলোয়ার বাড়ানো? নাকি পটেনশিয়াল কাস্টমার (Leads) খুঁজে বের করা? নাকি সরাসরি প্রোডাক্ট বিক্রি (Sales) করা?
লক্ষ্য পরিষ্কার থাকলে, আপনার কনটেন্টের ধরণও পরিষ্কার হয়ে যাবে।
উদাহরণ: একজন ছাত্রের লক্ষ্য হতে পারে নিজের পার্সোনাল ব্র্যান্ড তৈরি করা এবং একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে নিজেকে এক্সপার্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।
অন্যদিকে, একজন ছোট অনলাইন শপের মালিকের লক্ষ্য হতে পারে মাসে ১০টি নতুন সেলস আনা।
দুজনের কনটেন্ট স্ট্র্যাটেজি সম্পূর্ণ ভিন্ন হবে। তাই না?
ধাপ ২: আপনার Audience-কে ভালো করে চিনুন!
আপনি “সবার” সাথে কথা বলছেন না, আপনি কোনো “নির্দিষ্ট একজনের” সাথে কথা বলছেন।
আপনার টার্গেট অডিয়েন্স (Target Audience) কারা?
তাদের বয়স কত?
তারা কী পছন্দ করে?
তাদের সমস্যাটা কী যা আপনি আপনার কনটেন্ট দিয়ে সমাধান করতে পারেন?
আপনি যখন আপনার দর্শককে গভীরভাবে চিনবেন, তখন আপনি এমন কনটেন্ট বানাতে পারবেন যা তাদের সাথে সরাসরি কানেক্ট করবে।
উদাহরণ:
আপনি কি ভার্সিটির ছাত্রদের জন্য ফাইন্যান্স টিপস দিচ্ছেন?
নাকি নতুন মায়েদের জন্য প্যারেন্টিং পরামর্শ দিচ্ছেন?
আপনার ভাষা, উদাহরণ এবং টপিক—সবকিছুই আপনার দর্শকের উপর নির্ভর করবে।
ধাপ ৩: Create Content Pillars!
প্রতিদিন “আজ কী পোস্ট করবো?”—এই চিন্তা করা বন্ধ করুন।
একটি সিস্টেম তৈরি করুন।
আপনার নিস (Niche) অনুযায়ী ৩-৪টি মূল বিষয় বা “Pillar” বেছে নিন এবং এই বিষয়গুলোর উপর ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কনটেন্ট বানান।
সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রেমওয়ার্ক হলো:
– Education (শিক্ষা): আপনার দর্শকদের নতুন কিছু শেখান, তাদের কোনো সমস্যার সমাধান দিন।
– Inspiration (অনুপ্রেরণা): আপনার নিজের গল্প বা সফলতার কাহিনী বলুন যা তাদের অনুপ্রাণিত করবে।
– Promotion (প্রচার): আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে নতুন নতুন জিনিস শেয়ার করুন, নতুন আপডেট নিয়ে কথা বলুন।
উদাহরণ:
আপনি যদি একজন ফিটনেস ট্রেইনার হন, আপনার Pillar হতে পারে:
Education: “ওজন কমানোর ৫টি সহজ ব্যায়াম”।
Inspiration: “আমার ৩০ কেজি ওজন কমানোর গল্প”।
Promotion: “আমার পার্সোনাল সাপ্লিমেন্ট ব্লেন্ডটা কিনুন!”।
ধাপ ৪: প্রতিটি পোস্টে একটি Call-to-Action (CTA) দেয়ার চেষ্টা করুন!
আপনার অডিয়েন্সকে কখনোই ঝুলিয়ে রাখবেন না। তাদের বলুন এরপর কী করতে হবে।
আপনার পোস্ট পড়ার পর বা ভিডিও দেখার পর দর্শক কী করবে?
প্রতিটি পোস্টের শেষে একটি পরিষ্কার নির্দেশনা দিন। এটি আপনার এনগেজমেন্ট এবং কনভার্সন বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে।
উদাহরণ: পোস্টের শেষে লিখুন— “এই টিপসটা কেমন লাগলো, কমেন্টে জানান!”, “পোস্টটি সেভ করে রাখুন, পরে কাজে দেবে”, “বিস্তারিত জানতে ইনবক্স করুন”, অথবা “লিঙ্কে ক্লিক করে আমার কোর্সটি দেখুন”।
আচ্ছা – আমাদের কোর্সটা দেখতে পারেনঃ https://aiinbangla.com/courses/ai-champions/ – এই কোর্সটা সবার জন্যে না – যারা এআই নিয়ে আপটুডেইট থাকতে চায়, এআই এর উপর বেইজ করে ইনকাম এর সোর্স ক্রিয়েট করতে চায় – তাদের জন্যে শুধু!
ধাপ ৫: সাপ্তাহিক পারফরম্যান্স ট্র্যাক করুন & Double Down On What’s Working!
যা কাজ করছে, তা আরও বেশি করুন। যা কাজ করছে না, তা ডেইলি টু ডু লিস্ট থেকে বাদ দিন বা চেঞ্জজ করুন।
অনুমান করে গ্রো করা যায় না।
প্রতি সপ্তাহে আপনার পোস্টগুলোর পারফরম্যান্স (লাইক, কমেন্ট, শেয়ার, সেভ) চেক করুন।
কোন ধরনের পোস্ট মানুষ বেশি পছন্দ করছে?
কোন সময়ে পোস্ট করলে বেশি Reach পাচ্ছেন?
এই ডেটাগুলোই আপনার পরবর্তী সপ্তাহের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে দেবে।
উদাহরণ: ধরুন, আপনি দেখলেন যে আপনার টিউটোরিয়াল ভিডিওগুলো সাধারণ ছবির পোস্টের চেয়ে বেশি শেয়ার হচ্ছে। তার মানে, আপনার দর্শক ভিডিও দেখতে বেশি পছন্দ করে।
পরের সপ্তাহে আরও বেশি ভিডিও বানান।
Its That Simple!



